দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি
‘স্বয়ংসম্পূর্ণ’তা ও ‘উন্নয়ন’র বেলুন চুপসে গেছে

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি
‘স্বয়ংসম্পূর্ণ’তা ও ‘উন্নয়ন’র বেলুন চুপসে গেছে
আন্দোলন প্রতিবেদন
বৃহঃস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি যেন এখন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষত খাদ্যপণ্য। চাল-আটা, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনির মূল্য আকাশ ছোঁয়া। ডিম-মাছ-মাংস পাতে দেয়া শ্রমিক-কৃষক-নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত জনগণের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি। বিভিন্ন খরচ কমিয়েও সাধারণ জনগণ পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। খরচ হুহু করে বাড়ছে, কিন্তু আয় বাড়ছে না। চারিদিকে একটি নীরব হাহাকার চলছে। সরকারি ওএমএস-এর দোকান, টিসিবি’র ট্রাকের সামনে দরিদ্র মানুষের সাথে মধ্যবিত্তদেরও লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রায় জায়গায়ই অর্ধবেলা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও রিক্তহস্তে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। সরকার বয়স্ক ও বিধবা ভাতার নতুন তালিকা বন্ধ করে দিয়েছে। তালিকা থেকে বাদ পড়া এবং ফ্যামিলি কার্ড বঞ্চিত দরিদ্ররা এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তা সত্ত্বেও বাচাল তথ্যমন্ত্রী বলছে– “অনেক দেশ থেকে আমরা ভাল আছি”। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে– “আমরা বেহেস্তে আছি”। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছে– “দ্রব্যমূল্য তেমন বাড়েনি”।
প্রধানমন্ত্রী আগামী বছর দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করে জনগণের প্রতি কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ দিয়েছে, খাদ্যের সাশ্রয় করতে বলেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের জন্য ৪৩ কোটি টাকা খরচ করে নতুন বাড়ি তৈরি করছে। এটি একটিমাত্র উদাহরণ। এরকম অসংখ্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাগাড়ম্বর করছে, আর তখনও চাল এবং গম আমদানি করতে হয়েছে/হচ্ছে। দেশে প্রয়োজনীয় ৭০ লক্ষ টন গমের মধ্যে ৬০ লক্ষ টনই আমদানি করতে হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও (২০২২ সালে) চাল আমদানি করতে হচ্ছে। তাছাড়া ডাল, তেল, পেঁয়াজ, চিনি, মসলাও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু আমদানিতে রয়েছে ডলার সংকট। ফলে আমদানিও কম হচ্ছে এ বছর। তাই, দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তো রয়েছেই।
গত জুলাই থেকে গ্যাস-বিদ্যুতের চরম সংকট চলছে। লোডশেডিং দিয়ে সর্বস্তরের জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। কলকারখানা এবং কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শিল্প-কারখানার বিভিন্নখাতে উৎপাদন ৩০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে বাধ্য হয়েছেন মালিকরা। এর মাঝেই সরকার গত আগস্টে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে আরেকদফা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে যা লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে। এর আগে গ্যাসের মূল্যও বৃদ্ধি করেছিল। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা করলেও জনরোষের ভয়ে তা থেকে কিছু দিন বিরত ছিল। সরকার বিদ্যুৎ সংকটের প্রথমাবস্থায় বলেছিল অক্টোবরে সমস্যা কেটে যাবে। কিন্তু কাটেনি। নভেম্বরে শীত পড়ায় বিদ্যুতের ব্যবহার কম থাকায় লোডশেডিং কম হচ্ছে। এই সুযোগে সরকার চতুরতার সাথে পাইকারি পর্যায়ে ২০% মূল্য বৃদ্ধি করেছে। যা অচিরে গ্রাহক পর্যায়ে বৃদ্ধি হবে।
সরকার এই সংকটের জন্য ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিকে দায়ী করলেও আসল কারণ সেটা নয়। কারণ হচ্ছে সরকার আত্মনির্ভরশীল জ্বালানির উৎপাদনের উপর জোর না দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বিদেশি খোলাবাজারে তেল-গ্যাস কেনার উপর নির্ভরশীলতা গড়ে তোলায় আজকে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে ডলার সংকটের কারণে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। ডলার সংকটের অন্যতম কারণ হচ্ছে বিদেশে অর্থ পাচার। সরকারের আমলা-মন্ত্রী-নেতা ও ব্যবসায়ীরা দুর্নীতি করে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। সরকারের ১৪ বছরের শাসনামলে এই দুর্নীতিবাজরা ৯ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী সরকার দেশের রিজার্ভ ভেঙ্গে বিভিন্নখাতে খরচ করছে যার অধিকাংশই লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যাংকে আমদানি-রপ্তানির জন্য এলসি খুলতে পারছে না, ফলে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী তারস্বরে বলে চলেছেন, দেশে রিজার্ভ সংকট নেই। সুযোগ বুঝে চালকল মালিক বা ব্যবসায়ীরা চালসহ নিত্য পণ্য মজুত করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে।
আওয়ামী সরকার অর্থনৈতিক এই সংকট মোকাবেলায় সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা আইএমএফ (আন্তর্জাতি মুদ্রা তহবিল)-এর দ্বারস্ত হয়েছে। তাদের সাথে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চুক্তি করেছে।
আইএমএফ-এর মতো সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠান তাদের স্বার্থে দেশের স্বার্থবিরোধী শর্ত ছাড়া ঋণ দেয় না। সরকার আইএমএফ-এর শর্ত মানতে রাজি। এই সুযোগে তারা অর্থ সেক্টরের গভীরে নাক গলিয়ে দিয়েছে। উচ্চ সুদ (১%-এর জায়গায় এবারকার সুদ ২.২%), ট্যাক্স বাড়ানো, জ্বালানি-বিদ্যুতের ওপর ভর্তুকি প্রত্যাহার, কৃষিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার, সুদীর্ঘ সময় ধরে অল্প অল্প করে ঋণ দেয়াসহ যেসব শর্ত সরকার মেনে নিয়েছে তার সবই দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিরোধী। কোথাও গেল তাদের উন্নয়ন গলাবাজি, কোথায় গেল তাদের ‘আমরাও পারি’ স্লোগান? আইএমএফ-এর ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কারণ ছাড়াও রয়েছে নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে হাতে রাখার রাজনৈতিক হিসেব। সাম্রাজ্যবাদও পুরোদমে তার সুযোগ নিচ্ছে।
সাম্রাজ্যবাদ, দালাল বুর্জোয়া শাসকশ্রেণি ও হাসিনা-আওয়ামী ফ্যাসিবাদ উচ্ছেদ এবং শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত জনগণের গণক্ষমতা প্রতিষ্ঠা ব্যতীত জনগণের চরম দুর্ভোগ লাগব হবে না। তাই জনগণকে মাওবাদী আদর্শে শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে বিপ্লব ত্বরান্বিত করতে হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি
‘স্বয়ংসম্পূর্ণ’তা ও ‘উন্নয়ন’র বেলুন চুপসে গেছে
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি যেন এখন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষত খাদ্যপণ্য। চাল-আটা, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনির মূল্য আকাশ ছোঁয়া। ডিম-মাছ-মাংস পাতে দেয়া শ্রমিক-কৃষক-নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত জনগণের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি। বিভিন্ন খরচ কমিয়েও সাধারণ জনগণ পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। খরচ হুহু করে বাড়ছে, কিন্তু আয় বাড়ছে না। চারিদিকে একটি নীরব হাহাকার চলছে। সরকারি ওএমএস-এর দোকান, টিসিবি’র ট্রাকের সামনে দরিদ্র মানুষের সাথে মধ্যবিত্তদেরও লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রায় জায়গায়ই অর্ধবেলা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও রিক্তহস্তে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। সরকার বয়স্ক ও বিধবা ভাতার নতুন তালিকা বন্ধ করে দিয়েছে। তালিকা থেকে বাদ পড়া এবং ফ্যামিলি কার্ড বঞ্চিত দরিদ্ররা এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তা সত্ত্বেও বাচাল তথ্যমন্ত্রী বলছে– “অনেক দেশ থেকে আমরা ভাল আছি”। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে– “আমরা বেহেস্তে আছি”। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছে– “দ্রব্যমূল্য তেমন বাড়েনি”।
প্রধানমন্ত্রী আগামী বছর দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করে জনগণের প্রতি কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ দিয়েছে, খাদ্যের সাশ্রয় করতে বলেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের জন্য ৪৩ কোটি টাকা খরচ করে নতুন বাড়ি তৈরি করছে। এটি একটিমাত্র উদাহরণ। এরকম অসংখ্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাগাড়ম্বর করছে, আর তখনও চাল এবং গম আমদানি করতে হয়েছে/হচ্ছে। দেশে প্রয়োজনীয় ৭০ লক্ষ টন গমের মধ্যে ৬০ লক্ষ টনই আমদানি করতে হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও (২০২২ সালে) চাল আমদানি করতে হচ্ছে। তাছাড়া ডাল, তেল, পেঁয়াজ, চিনি, মসলাও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু আমদানিতে রয়েছে ডলার সংকট। ফলে আমদানিও কম হচ্ছে এ বছর। তাই, দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তো রয়েছেই।
গত জুলাই থেকে গ্যাস-বিদ্যুতের চরম সংকট চলছে। লোডশেডিং দিয়ে সর্বস্তরের জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। কলকারখানা এবং কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শিল্প-কারখানার বিভিন্নখাতে উৎপাদন ৩০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে বাধ্য হয়েছেন মালিকরা। এর মাঝেই সরকার গত আগস্টে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে আরেকদফা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে যা লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে। এর আগে গ্যাসের মূল্যও বৃদ্ধি করেছিল। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা করলেও জনরোষের ভয়ে তা থেকে কিছু দিন বিরত ছিল। সরকার বিদ্যুৎ সংকটের প্রথমাবস্থায় বলেছিল অক্টোবরে সমস্যা কেটে যাবে। কিন্তু কাটেনি। নভেম্বরে শীত পড়ায় বিদ্যুতের ব্যবহার কম থাকায় লোডশেডিং কম হচ্ছে। এই সুযোগে সরকার চতুরতার সাথে পাইকারি পর্যায়ে ২০% মূল্য বৃদ্ধি করেছে। যা অচিরে গ্রাহক পর্যায়ে বৃদ্ধি হবে।
সরকার এই সংকটের জন্য ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিকে দায়ী করলেও আসল কারণ সেটা নয়। কারণ হচ্ছে সরকার আত্মনির্ভরশীল জ্বালানির উৎপাদনের উপর জোর না দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বিদেশি খোলাবাজারে তেল-গ্যাস কেনার উপর নির্ভরশীলতা গড়ে তোলায় আজকে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে ডলার সংকটের কারণে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। ডলার সংকটের অন্যতম কারণ হচ্ছে বিদেশে অর্থ পাচার। সরকারের আমলা-মন্ত্রী-নেতা ও ব্যবসায়ীরা দুর্নীতি করে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। সরকারের ১৪ বছরের শাসনামলে এই দুর্নীতিবাজরা ৯ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী সরকার দেশের রিজার্ভ ভেঙ্গে বিভিন্নখাতে খরচ করছে যার অধিকাংশই লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যাংকে আমদানি-রপ্তানির জন্য এলসি খুলতে পারছে না, ফলে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী তারস্বরে বলে চলেছেন, দেশে রিজার্ভ সংকট নেই। সুযোগ বুঝে চালকল মালিক বা ব্যবসায়ীরা চালসহ নিত্য পণ্য মজুত করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে।
আওয়ামী সরকার অর্থনৈতিক এই সংকট মোকাবেলায় সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা আইএমএফ (আন্তর্জাতি মুদ্রা তহবিল)-এর দ্বারস্ত হয়েছে। তাদের সাথে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চুক্তি করেছে।
আইএমএফ-এর মতো সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠান তাদের স্বার্থে দেশের স্বার্থবিরোধী শর্ত ছাড়া ঋণ দেয় না। সরকার আইএমএফ-এর শর্ত মানতে রাজি। এই সুযোগে তারা অর্থ সেক্টরের গভীরে নাক গলিয়ে দিয়েছে। উচ্চ সুদ (১%-এর জায়গায় এবারকার সুদ ২.২%), ট্যাক্স বাড়ানো, জ্বালানি-বিদ্যুতের ওপর ভর্তুকি প্রত্যাহার, কৃষিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার, সুদীর্ঘ সময় ধরে অল্প অল্প করে ঋণ দেয়াসহ যেসব শর্ত সরকার মেনে নিয়েছে তার সবই দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিরোধী। কোথাও গেল তাদের উন্নয়ন গলাবাজি, কোথায় গেল তাদের ‘আমরাও পারি’ স্লোগান? আইএমএফ-এর ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কারণ ছাড়াও রয়েছে নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে হাতে রাখার রাজনৈতিক হিসেব। সাম্রাজ্যবাদও পুরোদমে তার সুযোগ নিচ্ছে।
সাম্রাজ্যবাদ, দালাল বুর্জোয়া শাসকশ্রেণি ও হাসিনা-আওয়ামী ফ্যাসিবাদ উচ্ছেদ এবং শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত জনগণের গণক্ষমতা প্রতিষ্ঠা ব্যতীত জনগণের চরম দুর্ভোগ লাগব হবে না। তাই জনগণকে মাওবাদী আদর্শে শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে বিপ্লব ত্বরান্বিত করতে হবে।
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র